পাঙ্গাস মাছের চাষ, Nagadline
মজুদ পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনাঃ
• আগাছা পরিষ্কার, পাড় ও তলা মেরামত।
• রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ দূরীকরণ (রোটেননঃ 9.1% শক্তির 16 -18 গ্রাম/ফুট /শতাংশ, সেচ দিয়ে, জাল টেনে)
• চুন প্রয়োগ- সাধারনত 1কেজি/শতাংশ
• সার প্রয়োগ- চুন প্রয়োগের 5/7দিন পর ইউরিয়া- 150-200 গ্রাম/শতাংশ, টিএসপি 50-75 গ্রাম/শতাংশ
মজুদকালীন ব্যবস্থাপনাঃ
• হাতে তৈরি খাদ্য প্রয়োগ- পাঙ্গাস 30টি + তেলাপিয়া 10টি+ রুই জাতীয় মাছ 25টি = 65টি / শতাংশ।
• স্থানীয় মেশিনে তৈরি খাদ্য প্রয়োগ - পাঙ্গাস 50টি+ তেলাপিয়া 15টি + রুই জাতীয় মাছ 25টি = 90টি/শতাংশ।
• বাণিজ্যিক খাদ্য প্রায়োগে আধা নিবিড় চাষ- পাঙ্গাস 200টি + মাগুর 20টি +তেলাপিয়া 30টি+ রুই জাতীয় মাছ 15টি= 265টি/শতাংশ।
• পোনা ছাড়ার পূর্বে পুকুরের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।
মজুদ পরবর্তীঃ
• খাদ্য তৈরির সূত্র (নমুনা): ফিশমিল 20%, সয়াবিন 15%, সরিষার খৈল 20%, কুড়া 35%, আটা 10%।
• দৈনিক খাদ্য প্রয়োগের হার ঃ 5-25গ্রাম ওজন : 10-15% (2বার) , 26-50গ্রাম : 8-10% (2বার), 51-100 গ্রাম 6-8% (2বার), 101-250 গ্রাম : 5-6% (2বার), 250গ্রামের উপর : 3-4% (2বার)।
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে।
• নমুনায়নঃ প্রতিমাসে 1বার জাল টেনে নমুনায়ন করতে হবে। মাছের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
• সম্পূর্ন আহরণঃ 7-8 মাস পর মাছ বাজারজাত করণের উপযোগী হলে সম্পূর্ণ আহরন করতে হবে।
• আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষন করতে হবে।
বিঃদ্রঃ- চাষ পদ্ধতি, মাটি ও পানির বিভিন্ন ভৌত রাসায়নিক গুনাবলীর উপর ভিত্তি করে পরিমাপসমূহ কমবেশী হতে পারে।
0 Comments: